নিউজনাউ ডেস্ক: গুরুগ্রামের ২৫ বছর বয়সী টেনিস তারকা রাধিকা যাদবকে নিজ বাবা দীপক যাদব গুলি করে হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। দীপক পুলিশকে জানিয়েছেন, ‘মেয়ের উপার্জনে খেতে হচ্ছে’ – এমন কটাক্ষ সহ্য করতে না পেরে তিনি এই কাজ করেছেন। কিন্তু পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা এই দাবিকে উড়িয়ে দিচ্ছেন।
দীপক যাদব গুরুগ্রামের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, যার মাসিক আয় ১৫-১৭ লক্ষ টাকা। তাঁর কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে, যার মধ্যে একটি বিলাসবহুল খামারবাড়িও অন্তর্ভুক্ত। আত্মীয়স্বজনদের মতে, “এত বিত্তবান ব্যক্তির মেয়ের উপার্জনের উপর নির্ভর করতে হবে – এমন মন্তব্য করাই অযৌক্তিক।”
রাধিকার প্রতি বাবার গভীর স্নেহের কথাও জানান প্রতিবেশীরা। টেনিস খেলার জন্য দীপক নিজের উচ্চশিক্ষার ইচ্ছা ত্যাগ করেছিলেন। দুই লক্ষ টাকা ব্যয় করে মেয়ের জন্য প্রফেশনাল টেনিস র্যাকেট কিনে দিয়েছিলেন। এমনকি রাধিকা আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশনের র্যাঙ্কিংয়ে ১১৩তম স্থানে ছিলেন।
এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ এখন অন্য উদ্দেশ্য আছে কিনা খতিয়ে দেখছে। রাধিকার মোবাইল ফোন, ব্যাংক লেনদেন এবং সোশ্যাল মিডিয়া এক্টিভিটি পরীক্ষা করা হচ্ছে। বিশেষভাবে দেখা হচ্ছে সম্পত্তি নিয়ে কোনো দ্বন্দ্ব ছিল কিনা।
ঘটনার দিন সকালে রান্নাঘরে থাকা রাধিকাকে পিছন থেকে গুলি করেন দীপক। পাঁচটি গুলির মধ্যে তিনটি সরাসরি বিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান এই প্রতিভাবান টেনিস খেলোয়াড়।
এই মামলায় নতুন কোনো তথ্য পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে আপডেট দেওয়া হবে। পুলিশের তদন্ত এখনও চলছে এবং দীপকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের প্রক্রিয়া চলমান।




