খুলনা প্রতিনিধি: খুলনার দৌলতপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে দুর্বৃত্তদের গুলিতে মাহবুবুর রহমান মোল্লা (৫০) নামের এক যুবদল নেতা নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে মহানগরীর মহেশ্বরপাশা পশ্চিম পাড়ায় নিজ বাড়ির সামনে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
দৌলতপুর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মাহবুবুর রহমান দৌলতপুর থানা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। গেল ১৮ ফেব্রুয়ারি তাকে দল থেকে বহিষ্কার কতা হয়।
পুলিশ জানায়, হেলমেট পরিহিত তিনজন সন্ত্রাসী একটি মোটরসাইকেলে এসে মাহবুবুর রহমানকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার দুই পায়ের রগ কেটে দেয় তারা।
নিহতের স্ত্রী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি গুলির শব্দ শুনেছি। চিৎকার করেছি, কেউ আসেনি ওকে ধরতে। মোটরসাইকেলে হেলমেট পরে এসেছিল সন্ত্রাসীরা। একজন কালো চেক চেক জামা পরা ছিল। যাওয়ার সময় গেটে গুলি করেছে, রাস্তায় গুলি করেছে। গালি দিয়ে বলেছে, ‘কে আসবি আয়।’ কিছুদিন ধরে ওকে মোবাইলে হুমকি দিচ্ছিল। আমি ওকে দূরে যেতে বলেছি বা আমাকে কথা বলতে দিতে বলেছি। কিন্তু ও বলেছে, ‘আমি কারও ক্ষতি করিনি, আমার কেউ ক্ষতি করবে না। আর মরণ থাকলে তো হবে।’ আমি বলেছি, এটা কোনো কথা হয় না। সবার সব থাকবে, আমার মেয়েদের কী হবে?”
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর আতাহার আলী বলেন, মাহবুবুর রহমান নিজের প্রাইভেটকার পরিষ্কার করছিলেন, এমন সময় হামলাকারীরা এসে তাকে গুলি করে। ঘটনাস্থল থেকে চারটি খালি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মাহবুবুর রহমানের মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও স্বজনরা হাসপাতালে ছুটে আসেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের সময় রামদা হাতে অবস্থান নেওয়ার ঘটনায় মাহবুবুর রহমানকে যুবদল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
